১। রোগ নিরাময় বা চিকিৎসা সেবাপ্রদান করা।
চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় উপজেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে (ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮-৩০ হতে ২-৩০ পর্যন্ত) ,জরুরী বিভাগে এবং অন্তঃবিভাগে (সব দিন এবং সবসময়) । প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা পরামর্শ ছাড়া ও রোগীদেরকে কোন ফি ছাড়াই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা যেমন রক্ত, প্রস্রাব, মল পরীক্ষা, ক্সরে, ইসিজি করা হয়।চিকিৎসার নিমিত্তে রোগীকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে বা অন্তঃবিভাগে ভর্তি করা হয়।সব বিভাগের পরামর্শকৃত বা ভর্তিকৃত সকল রোগীকে ওষুধ সরবরাহ করা হয়।নার্স বা সেবিকার তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডে বা অন্তঃবিভাগে রোগীদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং প্রতি রোগীকে দৈনিক ৭৫ টাকার পথ্য খেতে দেয়া হয়।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিওন্ত্রণাধিনে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার ও প্যারামেডিক্স এর তত্ত্বাবধানে বহিঃবিভাগিও রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এবং সীমিত পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া ও এখানে সীমিত ওষুধ সরবরাহ ও দেয়া হয়।ওয়ার্ড পর্যায়ে কমুনিটি ক্লিনিক গুলো থেকে সাধারণ রোগগুলোতে আক্রান্তদেরকে সীমিত চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এবং ওষুধ সরবরাহ করা হয়।সব পর্যায়ই থেকে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিবেচিত হলে উচ্চতর পর্যায়ে বা হাসপাতালে রেফার করা হয়।
২। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা।
রোগনিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে পরিচালিত কাজ গুলোর মধ্যে প্রধান হল সম্প্রসারিত টিকাদান বা Expanded program on Immunizationসংক্ষেপে EPI program। এই কর্মসূচীর অধীনে সকল ০-১১ মাসের শিশু কে যক্ষা, পোলিও, ডিপ্তথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি, হিব নিউমোনিয়া এবং হাম এই ৮ টি রোগের প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়।এবং নবজাতকের ধনুষ্টংকার প্রতিরোধের জন্য সকল মহিলাকে ১৫-৪৯ বছর বয়সের মহিলাদেরকে ধনুষ্টংকার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়।
এলাকাতে প্রকোপ আছে এরূপ সকল সংক্রামক রোগ যেমন ডাইরিয়া,যক্ষ্মা, এইডস, এ আর আই, সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু কালাজ্বর ইত্যাদি,নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বতন্ত্র নীতিমালা অনুসরণকরে পুরো বছর নিদিষ্ট এবং স্বতন্ত্র কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়, এর মধ্যে উল্লেখ্য ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্যে জনগণকে কীটনাশকে চুবানো মশারী দেয়া হয় এবং জনগণের মশারি কীটনাশকে চুবিয়ে দেয়া হয়। পোলিও নিরমুলের জন্য প্রতি বছর ১ বার দুই রাউন্ড সকল ০-৫৯মাসের শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। এরুপ সকল সংক্রামক রোগ গুলোর জন্যভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচী সম্পন্ন করা হয় উপাজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরঅধীনে।
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ত রোধের জন্য ৯মাস-৫৯মাসের সকল শিশুকে ভিটামিন -এ খাওয়ানো হয়। ইহা ছাড়াও অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ভালো থাকার জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়া হয়।
৩। নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করে মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা করা।
নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করে মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা করার লক্ষে মাঠ পর্যায়ে সকল গর্ভবতীকে নিবন্ধন করা হয়, প্রসব পর্যন্ত সকলকে নিয়মিত চেক আপ করা হয় এবং ঝুঁকি যাচাই করা হয়।গর্ভবতীর অবস্থা অনুযায়ী গ্রাম পর্যায়ে CSBA কর্তৃক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ডাক্তার বা পরিবার কল্যাণ পরিদরশিকা কর্তৃক প্রসবের ব্যাবস্থা নেয়া হয়।প্রয়োজন বিবেচিত হলে বা কোন ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী হলে তাহাকে উচ্চতর হাসপাতালে রেফার করা হয় বিশেষত যে সকল হাসপাতালে EOCবা জরুরী প্রসূতি সেবা চালু আছে সে সকল হাসপাতালে।সকল প্রসূতিকে প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে ভিটামিন -এ ও খাওয়ানো হয়।
৪। মেডিকো লিগ্যাল দায়িত্ত্ব পালন
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে বিচার কাজের প্রয়োজন এ যে সকল মেডিকো লিগ্যাল দায়িত্ত্ব পালন করা হয় সেগুলো হল (১)জখমি সনদ পত্র, (২)ধর্ষণ সনদ পত্র ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন অন্যান্য দপ্তর সমূহ হল
১) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র, ২) কম্যুনিটি ক্লিনিক।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস